No Result
View All Result
অভিমত
  • প্রচ্ছদ
  • মন্তব্য
  • বিতর্ক
  • সাক্ষাৎকার
  • বিশ্লেষণ
  • কলাম
  • পরিক্রমা
  • রিভিউ
অভিমত
  • প্রচ্ছদ
  • মন্তব্য
  • বিতর্ক
  • সাক্ষাৎকার
  • বিশ্লেষণ
  • কলাম
  • পরিক্রমা
  • রিভিউ
No Result
View All Result
অভিমত
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ নির্বাচিত

জ্বরের নাম হীরামণ্ডি : তাওয়াইফ বনাম বেগমদের অবাক রূপকথা

সায়েমা খাতুন

৫ জুন ২০২৪

ভানশালী আজ এক ভারতীয় চলচ্চিত্র ঘরানা, একটা জনরা। এই লীলা ভানশালী কি পুরুষের পদবী? না, এ তো মেয়েদের নাম! অনেক দিন আগে সঞ্জয় লীলা ভানশালী এক সাক্ষাৎকারে তার এই অভিনব পদবী কেমন করে হলো তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, লীলা ভানশালী আসলে তার মায়ের নাম। কেন তার পদবী লীলা ভানশালী হল, কেন তিনি পৈতৃক পদবী প্রত্যাখ্যান করে মাতৃ পদবী গ্রহণ করেছিলেন, কীভাবে বাবা স্ত্রী-সন্তানকে পরিত্যাগ করেছিলেন, এবং মায়ের অপরিসীম দুঃখ-কষ্ট ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে তিনি ভারতের অন্যতম ধনী ও বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ও প্রযোজক আজকের বিলিওনেয়ার ভানশালি হতে পেরেছেন- সেই সব গল্প কিন্তু রূপকথার চেয়ে কোনো অংশে কম বিস্ময়কর নয়। পেছনের এই ইতিহাসটুকু থেকে আন্দাজ করা যেতে পারে, আজকের ভানশালীর অভিজ্ঞানে প্রভাবশালী নারীর ইমেজ কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ভানশালীর জীবনবীক্ষণ কতটা শক্তিশালী নারীচরিত্র শাসিত।

ভানশালীর ছবি মানেই বৃহৎ জমকালো নাটকীয় এক ইতিহাসের পটভূমিতে রচিত ধুন্ধুমার চিত্রনাট্য, ধ্রুপদী ভারতীয় নৃত্য-গীত-সঙ্গীতের চূড়ান্তরকম উস্তাদিতে নির্মিত, এক একটি ঐতিহাসিক কালের এক একটি এলিট কমিউনিটির উৎকৃষ্টতম প্রাণবন্ত সংস্কৃতির ভানশালীয় প্রকাশ। ভানশালীয় চলচ্চিত্রের সংস্কৃতির জমিনে পরিবেশিত হয় উচ্চকোটি সমাজের অভ্যন্তরে নারীদের অবস্থান ও মর্যাদার নাজুকতা সত্ত্বেও প্রবল ও অদম্য এজেন্সির কাহিনী; রুপালি পর্দার জন্যে পরিবেশিত নারীদের বর্ণাঢ্য চরিত্রের সিনেমাটিক স্টোরি টেলিং! হীরামণ্ডি সেই ভানশালীয় ঘরানারই সর্বশেষ এক জমজমাট ভিজুয়াল ফিস্ট। বলিউডের চলচ্চিত্রের তিনটি মূলনীতি, বিনোদন, বিনোদন এবং বিনোদনে তা পরিপূর্ণ- কী তার গল্প, মোড়ে মোড়ে নাটকীয়তা, মানবিক আবেগের কি কুশলী খেলা, সুবিশাল প্রাচুর্যপূর্ণ সেট, চোখ ঝলসানো কস্টিউম, ভারী ভারী অলঙ্কার, তুলনাহীন শোম্যানশিপ!

নেটফ্লিক্সে হীরামণ্ডির ৮ পর্ব দেখে শেষ করলাম। ১৯২০ এর দশকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে লাহোরের তাওয়াইফ সংস্কৃতির ভুলে যাওয়া ইতিহাসের রুপালি ছায়াছবি। আমার মতো নারীর ইতিহাস নিয়ে উৎসুক দর্শকদের জন্যে রোমাঞ্চকর ছিল ভারতীয় স্বাধীনতার ইতিহাসের বিস্মৃত তাওয়াইফ সমাজের গভীর দেশপ্রেম ও অবিশ্বাস্য আত্মত্যাগকে বলিউডের মঞ্চে স্পট লাইটে নিয়ে আসার এই প্রজেক্ট : ভারতীয় স্বাধীনতার অকথিত, বিস্মৃত ও বিস্ময়কর ইতিহাসকে এই জমানার লোকস্মৃতিতে পুনরুজ্জীবিত করা। সাবেক ব্রিটিশ-ভারতীয় দেশগুলোর হাল প্রজন্ম সামাজিক গণমাধ্যমে পয়লা তারিখে ছবির রিলিজ থেকে গোটা মে মাস জুড়ে হীরামণ্ডি জ্বরের ঘোরে ক্রমাগত কখনও আলাপ করছে, কখনও বা প্রলাপ বকে চলেছে।

ঐতিহাসিক লাহোরের আসল হীরামণ্ডি কেমন ছিল, সেই সময়ের তাওয়াইফদের জীবনের সাথে এই সিনেমার সঙ্গতি আছে কী নেই, সেই প্রশ্ন অবান্তর। সিনেমা ইতিহাসের অনুপ্রেরণায় তৈরি হতে পারে, কিন্তু তাকে ইতিহাসনিষ্ঠ হতে হবে কি? সিনেমার কাজের জায়গা লোকমানসে এবং কল্পজগতেই অধিষ্ঠিত হওয়ার কথা, শিল্প ও বিনোদন হয়ে ওঠার কথা, তাই নয় কি? ইতিহাসের ফ্যাক্ট-নির্ভর হওয়ার দায় সিনেমার নয়। তবে বর্তমানের দর্শক-মানসের প্রতি নিশ্চয়ই এই আর্ট ফর্ম দায় এড়াতে পারে না। তাহলে এই বর্তমান হীরামণ্ডি কীভাবে অতীতকে নির্মাণ করছে? কেমন সেই কল্পদেশ?

এই হীরামণ্ডি ইতিহাস নয়, ভানশালীর ফ্যান্টাসির ভেতরে সৃষ্ট লোকালয়ের অস্পষ্ট বর্ডারে বিরাজমান, বৈধ-অবৈধের দোলাচলবাসী নারীদের এক রহস্য-রোমাঞ্চ জগৎ। ভানশালী বিরচিত অতীতে যখন আমরা দর্শক রূপে নিজেকে প্রবেশ করতে কনসেন্ট দেই, দেখি, তৎকালীন জীবনের বাস্তবতার খসখসে ক্রুরতা রূপকথার ঢঙে ঐশ্বর্যময় এক সিনেমাটিক কলায় সহনীয়, এমনকি মনোহর বিনোদনে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। রক্তস্রোতে ডোপামিন, সেরোটোনিনের প্রস্রবণ বান ডাকে। অতি মূল্যবান জমকালো রাজকীয় পোশাক, হীরে-জহরত-মণি-মাণিক্যে মোড়া, ভারী ভারী গহনা পরা চরিত্রগুলো প্রাসাদোপম ভবনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঘোড়ার জুড়ি গাড়িতে ছুটে চলছে এমন এক কল্পিত পরাধীন ব্রিটিশ-ভারতে যেখানে দারিদ্র্য নয়, প্রাচুর্যের ছড়াছড়ি। সে এক এলাহী কাণ্ড, যেন এক লা জওয়াব রূপকাহিনীর জগত, এ যেন ডিজনিল্যান্ডাইজেশন অফ ইন্ডিয়া কিম্বা ইন্ডিয়ানাইজেশন অফ ডিজনিল্যান্ড। দর্শক হিসাবে বাদামী আমরা শ্বেতাঙ্গ ওরিয়েন্টালিস্টদের গেইজ দিয়ে আমাদেরই দেখি, আমাদেরই অতীতকে ফিরে দেখি, মোহিত হই। অতীত ভারতের ঐশ্বর্যের ফ্যান্টাসিতে দর্শক প্রায় বেহুঁশ হয়ে পড়ে। আমাদের চিন্তার শক্তি লুণ্ঠিত হয়ে যায়, আমরা স্বেচ্ছায় মগজ বন্ধক রেখে বেকুব বনতে রাজি হয়ে যাই।

ভানশালীর চরিত্রগুলো প্রয়োজনের অতিরিক্তরকম ঐশ্বর্যশালী। ব্যাপারটা খামোখা নয়। বিজেপি সরকারের গত ৫ বছরে “এক দশমাংশ ভারতীয়ের দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসা”র দাবির সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বলিউডের পৃষ্ঠপোষক আম্বানী-আদানি গোষ্ঠীর মতো বিলিওনেয়ারদের ঐশ্বর্যের প্রদর্শনী এবং বিশ্বমঞ্চে সুপার পাওয়ার অভিলাষী রাষ্ট্রের জন্যে দারিদ্র্যহীন হীরা-জহরত মণ্ডিত প্রাসাদ-অট্টালিকায় পরিপূর্ণ সম্পদশালী ভারতের ইমেজ সৃষ্টির জরুরত আছে। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, গৌতম ঘোষের মতো পুরানো ঘরানার ছবিতে ভারতের ক্লাসিক দারিদ্রের দার্শনিক-শৈল্পিক-নান্দনিক-নৈতিক রূপায়নের ধারে কাছেও তিনি যাবেন না। প্রাত্যহিক জীবনের আটপৌড়েপনা তিনি বরদাস্ত করতে পারেন না। প্রথম থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দর্শককে টান টান নাটকীয়, সিনেমাটিক, সেন্সুয়াল, সাইকোসমেটিক ভিজুয়াল প্লেজার এবং ছানাবড়া চোখ আর চোয়াল ঝুলে পড়া হতবাক বোধ দেওয়াই তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যাকে বলে shock and awe। তিনি বলেইছেন, রেশনের লাইনে দাঁড়ানো দরিদ্র নারীরা তাকে আকর্ষণ করে না। বরং, এই তাওয়াইফদের “রঙ্গরস রহস্যে ঘেরা” জীবনই তাকে টানে।

“রঙ্গরহস্যে ঘেরা” আসলে অন্ধকার ইতিহাসেরই অপর নাম। এই হীরামণ্ডি ইতিহাসের অন্ধকার কোন থেকে প্যান্ডোরার বাক্স যেমন খুলেছে, তেমন ভয়াবহ সব সহিংস সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সম্পর্কগুলো তেমন কোন যন্ত্রণা ছাড়াই দর্শককে ‘ঐতিহাসিক ও স্বাভাবিক’ বলে মেনে নেওয়ার আরাম দিয়েছে। উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, কাশ্মীর এবং ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে নারীপাচারের সংঘবদ্ধ চক্রের ফাঁদে পড়া, চুরি ও প্রতারিত হয়ে বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য হওয়া, বিভিন্ন গ্রামের কন্যাশিশুদের অপহরণ, অভিজাত নওয়াবদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া, শিশুদের মায়েদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা, বিক্রি করা, দাসবৃত্তি, নিজের পরিবারের পরিচয় অস্বীকৃত হওয়া, একক ও গণধর্ষণের শিকার হওয়া, কখনও নিরুপায় হয়ে যৌন সম্পর্কে সম্মতি দেওয়া, ভূস্বামীদের পৃষ্ঠপোষকতার ওপর জীবনসংস্থানের জন্যে নির্ভরশীলতা, বিবাহ-বহির্ভূত সন্তানের দায়, সমাজে বিয়ে ও সংসার করে পরিবার গড়ে তোলার উপায় না থাকা, মায়ের ও সন্তানের পরিচয় নিয়ে সমাজে বাঁচতে না পারা, সামাজিক কলঙ্ক বহন, শারীরিক-মানসিক-যৌন নির্যাতন, প্রহার, খুন, আত্মহত্যা, আত্মজখম, ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন, সাইকোসিস, – এই সব ভয়াবহ সব যৌন ও অযৌন ভায়োলেন্স আজকের দর্শকের অবসর-বিনোদনের উপভোগ্য বস্তুতে রূপান্তরিত হয়েছে। অথচ, বেশ্যা বনাম বউ (যেমনটি রেহনুমা আহমেদ : ২০১৮ দেখিয়েছেন), তাওয়াইফ বনাম বেগম এর একটা অশুভ ও অন্যায্য প্রাতিষ্ঠানিক লিঙ্গীয় ব্যাবস্থায় বৈধ-অবৈধ উভয় নারীই যে শাসিত হয়েছে, সেটা উন্মোচিত হয় নি।

হীরামণ্ডি নামক প্রতিষ্ঠানটিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেওয়ার জন্যে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনে অর্থের যোগান দেওয়া, অস্ত্র-শস্ত্র মজুত রাখা, যোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, গুপ্তচর হিসাবে কাজ করা এবং সহযোগিতার অপরাধে তাওয়াইফ সম্প্রদায়কে প্রায় মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। হুজুর মালিকাজান (মনীষা কৈরালা)- হীরামণ্ডির “ক্ষমতাধর” শাসকের মুখে সংলাপে জানা গেল : হীরামণ্ডিতে নাকি ইংরেজদের শাসন চলে না, চলে হুজুর মালিকাজানের শাসন! যেন হীরামণ্ডি কলোনিয়াল শাসনের আওতামুক্ত এক স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল, যেন সেখানে এক স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত। অথচ, অনতিবিলম্বেই দেখা গেল, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ দেওয়ার জন্যে লাহোরের নওয়াবেরা একযোগে হীরামণ্ডি বয়কট করে। বিলেত-ফেরত সদ্যযুবক নাদান প্রেমিক তাজদার (তাহা শাহ বাদুসশা) ছাড়া গোটা লাহোরি নওয়াব সমাজের নির্লজ্জ কাপুরুষতা, দায়-দায়িত্বহীনতা, বেঈমানি, নিজেরদের ইন্দ্রিয়সুখের জন্যে ব্যবহৃত নারীদের ঘোঁট পাকিয়ে পরিত্যাক্ত করার ইতিহাসটা মোটামুটি অন্ধকারেই রয়ে গেল।

হীরামণ্ডির কুইন, হুজুর আকা মালিকাজান (মনীষা কৈরালা) বাধ্য হয়ে বেগমদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং প্রত্যাখ্যাত হন। নিজে পুলিশ স্টেশনে গণধর্ষণ সহ্য করে বাঁচানোর চেষ্টা করেন কন্যা আলমজেবকে (শারমিন সেগাল) এবং হীরামণ্ডি প্রতিষ্ঠানটিকে। হুজুরের অবস্থাই যদি এই, তবে সাধারণ তাওয়াইফদের কি সইতে হয়েছিল, তা কল্পনাও করতে চাই না। শেষ পর্যন্ত হীরামণ্ডির প্রাসাদোপম ইমারত, ধন-সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়, তাওইয়াফরা নওয়াবদের পৃষ্ঠপোষকতা হারায়, হারায় তাদের নৃত্য-গীত-সঙ্গীত-বিনোদনের মাধ্যমে অর্জিত আয়-রোজগার, মর্যাদা ও প্রভাব। বিদ্রোহে অংশগ্রহণের অপরাধে তাদের ওপর নেমে আসে এক ভয়ংকর গজব, এক অল আউট ক্র্যাক ডাউন। দেশের স্বাধীনতার জন্যে এই আত্মবলিদানের পুরস্কার ছিল পুরোপুরি রাস্তায় নেমে যাওয়া। ইংরেজ শাসননীতি তৎকালীন ধনাঢ্য ও ক্ষমতাশালী তাওয়াইফদের nautch girl এর নিম্নমর্যাদায় নামিয়ে নিয়ে আসে, ধীরে ধীরে জীবিকার জন্যে পুরোপুরি বেশ্যাবৃত্তির দিকে ঠেলে দেয়, যেখানে তাদের আর কোনই চয়েস থাকে না। অথচ, শৈল্পিক ওস্তাদিতে যে কোন ভারতীয় ক্লাসিক নৃত্য-গীত-সঙ্গীতের ওস্তাদ, রথী-মহারথীদের তারা দুর্ধর্ষ সমকক্ষ ছিলেন; ছিলেন খোদ এক একজন ওস্তাদ শিল্পী ও কলাকার, নৃত্য-গীত-সুর-সঙ্গীতের সম্রাজ্ঞী – খোদ বলিউড যাদের কাছে চিরঋণী।

রূপালি দুনিয়া আপাতত এই কাহিনীতে চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে বিব্যজানরূপী অদিতি রাও হায়দারির গজগামিনী বিভঙ্গে মূর্ছা পড়ে আছে। হারানো দিনের এক লা লা ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই সেন্সুয়াল সফট দৃশ্যকাম কোঠা থেকে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে; গ্রহণযোগ্য, অনুমোদিত ও বৈধ পরিগণিত হয়েছে। নারী দর্শকও পুরুষের সেন্সুয়াল বিনোদনের নজর আত্তীকরণ করে প্রতিদিনই এই বিভঙ্গ আপলোড করে যাচ্ছে। আর কোনকিছুই যেন তাদের নজরে পড়লো না। আর কিছুই যেন দেখেও দেখলাম না, জেনেও জানলাম না। এক বিন্দু অশ্রুজলেও শুধাইলাম না, মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হল বলিদান? এ এমন এক ম্যাট্রিক্স, যেখানে ঢুকে দেখতে পাবেন, প্রাতিষ্ঠানিক ঐতিহাসিক যৌন-সন্ত্রাসের বীভৎসতার গল্প কোন সেনসেশন, কোন ক্রোধ, ক্ষোভ, যন্ত্রণা সৃষ্টি করল না। এই শিল্প এমন এক প্রমোদ-বিলাসী নিষ্ক্রিয় গেইজ তৈরি করে যে, চোখের সামনে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, আত্মহত্যা, প্রতারণা, মৃত্যুদণ্ড, মানবের আত্মার নরমাংসের ক্রেতা-বিক্রেতায় পরিণত হওয়া, মানবতার নিত্য অবমানকে যন্ত্রণাবিহীন প্লেজারেবল ভিজুয়াল ফিস্টে পরিবেশন করে। ভারতের সফট পাওয়ার বলিউড যেমন শ্রেণী-লিঙ্গ-জাতি-বর্ণবিভক্ত ভারত শাসনের অমোঘ শক্তিশালী ব্রহ্মাস্ত্র, হীরামণ্ডিও অবিকল তাই। এ রেজিম অফ দ্য বিলিওনেয়ার, বাই দ্য বিলিওনেয়ার, ফর দ্য বিলিওনেয়ার।

মে ৩০-জুন ৪, ২০২৪
উইস্কন্সিন, যুক্তরাষ্ট্র

Image Source: Money Control
https://www.moneycontrol.com/…/5-interesting-facts…

বিষয়: ভানশালীসঞ্জয়লীলা বানশালীসায়েমা খাতুনসিনেমাহিরামান্ডিহীরামণ্ডি
ShareTweetPinSend

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

কলাম

রাষ্ট্র কী চায়

৩ জুলাই ২০২৪
Glimpses of the new Parliament Building, in New Delhi
নির্বাচিত

যে নির্বাচনে জিতেও হার মোদীর, হেরেও জয় ‘ইন্ডিয়া’র

৮ জুন ২০২৪
নির্বাচিত

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পিছিয়ে পড়ছে কেন?

৩০ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচিত

নাগরিক সমাজ কোথায় হারালো?

১৬ এপ্রিল ২০২৪
বিএনপির একটি কর্মসূচি, ছবি : বিএনপির ফেসবুক পেজ
নির্বাচিত

বিএনপি কি ব্যর্থ হলো?

২২ জানুয়ারি ২০২৪
নির্বাচিত

এমেরিকা কি শেষ পর্যন্ত কিছু করবে?

১৫ জানুয়ারি ২০২৪

Discussion about this post

জনপ্রিয় লেখা

চীনের বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পের ১০ বছর

৬ নভেম্বর ২০২৩

ভারত কি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়বে?

৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আমি কি বাংলাদেশ?

৫ অক্টোবর ২০২৩
আব্দুর রউফ তালুকদার

গভর্নরের ডি গ্রেড ও বাংলাদেশের অর্থনীতি

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
২৯ অক্টোবরের হরতালে মতিঝিলের শাপলা চত্বর

হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে কি দাবি আদায় হবে?

১০ নভেম্বর ২০২৩
  • প্রচ্ছদ
  • আমাদের সম্পর্কে
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • যোগাযোগ
google play

অভিমত
ঠিকানা: ২০ বাবুপুরা (৩য় তলা), কাঁটাবন ঢাল, কাঁটাবন। ঢাকা ১২০৫। ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © ২০২৫ অভিমত

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • মন্তব্য
  • বিতর্ক
  • সাক্ষাৎকার
  • বিশ্লেষণ
  • কলাম
  • পরিক্রমা
  • রিভিউ

অভিমত
ঠিকানা: ২০ বাবুপুরা (৩য় তলা), কাঁটাবন ঢাল, কাঁটাবন। ঢাকা ১২০৫। ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © ২০২৫ অভিমত

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist