No Result
View All Result
অভিমত
  • প্রচ্ছদ
  • মন্তব্য
  • বিতর্ক
  • সাক্ষাৎকার
  • বিশ্লেষণ
  • কলাম
  • পরিক্রমা
  • রিভিউ
অভিমত
  • প্রচ্ছদ
  • মন্তব্য
  • বিতর্ক
  • সাক্ষাৎকার
  • বিশ্লেষণ
  • কলাম
  • পরিক্রমা
  • রিভিউ
No Result
View All Result
অভিমত
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ নির্বাচিত

ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি, ঝুঁকিতে আমানত

মো. সহিদুল ইসলাম সুমন

১৪ অক্টোবর ২০২৩

ব্যাংকের প্রধান ভিত্তি তার মূলধন। যে ব্যাংকের মূলধন সক্ষমতা যত বেশি অর্থনৈতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সে ব্যাংকের সক্ষমতা ততোটাই বেশি। আমানতকারীদের অর্থের সুরক্ষা, ব্যাংকের স্থিতিশীলতা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার দক্ষতা পরিমাপের প্রধান মাপকাঠি হিসেবেও বিবেচনা করা হয় মূলধনকে।
মূলধনের দিক থেকেই বিশ্বের ছোট-বড় প্রায় সব দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। যে কোন ব্যাংকের ক্ষেত্রে, আমানতকারীদের অর্থ থেকে গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়া হয়, সেটি ব্যাংকের প্রধান সম্পদ। অন্যদিকে মূলধন হলো, ব্যাংকের উদ্যোক্তা তথা শেয়ারহোল্ডারদের জোগান দেওয়া পরিশোধিত মূলধন, বিভিন্ন ধরনের রিজার্ভ ও রিটেইন আর্নিংস।
ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতায় এবার যোগ হয়েছে উচ্চ মূলধন সংকট। আমানতকারীদের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যাংকিংয়ের আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, সব ব্যাংককে একটি নির্দিষ্ট হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের অর্থ ও প্রতিবছরের মুনাফা থেকে এ মূলধন সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মূলধন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বা রিস্ক ওয়েটেড অ্যাসেটের ১০ শতাংশ বা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেসব ব্যাংক এ নীতিমালা অনুযায়ী মূলধন সংরক্ষণ করতে পারে না, সেসব ব্যাংককে মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলধন ঘাটতিতে থাকা সেসব ব্যাংক শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারে না। এছাড়া, বিদেশি ব্যাংকগুলো কোনো স্থানীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার আগে ব্যাংকের মূলধন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যেসব শর্তে বাংলাদেশকে ৪৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে তার অন্যতম শর্ত ছিলো ব্যাংকিং সুশাসন। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে মানা হচ্ছে না সেই সব শর্ত।
গত জুন শেষে দেশের ১৫টি ব্যাংক মূলধন স্বল্পতায় ভুগছে বলে জানা যায়। মার্চে এ সংখ্যা ছিল ১১। নতুন করে দেশি-বিদেশি আরও চার ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। মূলধন সংকটে ভোগা ব্যাংকগুলোর মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারি ব্যাংক ও দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে ছয়টি। বাকি দুটি বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশ শাখা।
মূলধন ঘাটতিতে থাকা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো হলো অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ছয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেঙ্গল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি, ন্যাশনাল ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফার্মাস ব্যাংক)। এর মধ্যে বেঙ্গল ও সিটিজেনস ব্যাংক নতুন করে গত জুন শেষে মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে হাবিব ব্যাংক ও ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন করে যে চারটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে সেগুলো হলো, নতুন প্রজন্মের বেসরকারি বেঙ্গল ব্যাংক ও সিটিজেনস ব্যাংক এবং বিদেশি মালিকানাধীন হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। এ চারটি ব্যাংকে গত মার্চ শেষেও মূলধন উদ্বৃত্ত ছিল। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে এই ৪ ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
জুন শেষে এ ১৫ ব্যাংকে যে পরিমাণ মূলধন থাকার কথা তার চেয়েও কম রয়েছে ৩৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
গত মার্চে মূলধন ঘাটতিতে ছিল ১১টি ব্যাংক। ওই ১১ ব্যাংকের সম্মিলিত ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে ১৬৯ কোটি টাকা। আর ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে ৪টি। দেশের ব্যাংকিং খাতে ইতিমধ্যেই খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে ব্যাংকগুলোর মূলধন সংকট ব্যাংক খাতকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি। এর ফলে এসব ব্যাংকে রাখা গ্রাহকদের আমানত হুমকিতে রয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। জুন শেষে ব্যাংকটির ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৫৪১ কোটি টাকায়। যা মোট মূলধন সংকটের প্রায় অর্ধেক। গত মার্চ শেষে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি মোট তিন হাজার ৭৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার মূলধন সংকটে রয়েছে।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রূপালী। এ ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি হয়েছে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই হাজার ২৩০ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকের রয়েছে দুই হাজার ১৮৯ কোটি টাকা এবং চরম দুর্বল অবস্থায় থাকা বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি রয়েছে দুই হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। অপর বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যা আর্থিক খাতে অন্যতম দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। এ ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি হয়েছে ২ হাজার ৩৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
নতুন করে যে চারটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি দেখা দিয়েছে সিটিজেনস ব্যাংকে। জুন শেষে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি টাকার বেশি। অথচ মার্চ শেষে ব্যাংকটির প্রায় ৩ কোটি টাকা মূলধন উদ্বৃত্ত ছিল। এ ছাড়া জুন শেষে বেঙ্গল ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক ও ব্যাংক অব পাকিস্তানের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮৮, ৩৬ ও সাড়ে ৪২ কোটি টাকায়।
তবে এই প্রান্তিকে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঘাটতিতে থাকলেও সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকের অবস্থার অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে দ্বিতীয় প্রান্তিকে(এপ্রিল থেকে জুন)- এ তিন মাসে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি হয়েছে ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে দুই হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা কম। মাত্র তিন মাসে মূলধন ঘাটতি কমানোর দিক দিয়ে একটি রেকর্ড বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আফজাল করিম।
আর জনতা ব্যাংকের ঘাটতি প্রায় ২০০ কোটি টাকা কমে জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের ঘাটতি কমেছে প্রায় ৩৪৪ কোটি টাকা। জুন শেষে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

এদিকে দেশের ব্যাংকিং খাতে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংকেরও বিপুল পরিমাণ মূলধন ঘাটতি হয়েছে দ্বিতীয় প্রান্তিকে। এসব ব্যাংক বরাবরই মূলধন ঘাটতিতে থাকে। এ ব্যাংকগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে। তবে বিভিন্ন সুযোগ ও ঋণ দিয়েও ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থানে আনা যাচ্ছে না। এসব ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূলধন ঘাটতির চিত্রই বলে দিচ্ছে ব্যাংক খাত খারাপের দিকে যাচ্ছে, খেলাপি ঋণ বাড়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই চিত্র পরিবর্তন করতে হলে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করে একীভূত করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক নীতিমালা করতে হবে। সরকারি ব্যাংকের নীতিমালা বাস্তবায়ন করবে সরকার আর বেসরকারি ব্যাংকের নীতিমালা বাস্তবায়ন করবে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ।
ব্যাংকিং খাতের ক্যান্সার হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ হিসেবে অনিয়ম এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। জুন শেষে খেলাপি ঋণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বেঁধে দেওয়া খেলাপি হারের চেয়ে অনেক বেশি। খেলাপি ঋণের এ বাড়ন্ত অবস্থার কারণে আইএমএফের প্রতিশ্রুত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি আটকে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি শর্ত পূরণ না হওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে প্রদেয় দ্বিতীয় কিস্তিও দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ বাড়তে থাকবে। এতে সক্ষমতা হারাবে ব্যাংকগুলো। আর মূলধন ঘাটতি যত বাড়তে থাকবে, আমানতকারীদের আমানতের ঝুঁকিও তত বাড়বে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের ইঙ্গিত ছাড়া ব্যাংক খাত সঠিক পথে ফিরবে না। কারণ, এসব ব্যাংকের মালিকানার সঙ্গে জড়িত ও বড় গ্রাহকদের অনেকে প্রভাবশালী ও সরকারঘনিষ্ঠ। তাঁদের অনেকে সরকারের পদেও রয়েছেন। ফলে তাঁদের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো নীতি প্রয়োগ করছে না। এর ফলে অনেক ভালো ব্যাংক দিন দিন খারাপ হয়ে পড়ছে। আমানতকারীদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তথ্য মতে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর তারল্য প্রবাহ জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। যা মার্চে ছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা।
গত মার্চ শেষে সম্মিলিতভাবে ব্যাংকগুলোতে উদ্বৃত্ত মূলধনের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা, জুনে তা ১,৬১১ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে এই উদ্বৃত্ত মূলধন ছিল ২১,৭৯৮ কোটি টাকা। মূলধন ঘাটতিতে পড়া ব্যাংকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জুন শেষে ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত উদ্বৃত্ত মূলধনের পরিমাণও কমে গেছে।

ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা নির্দ্বিধায় স্বীকার করছেন, বাংলাদেশের ব্যাংক উদ্যোক্তারা মূলধন সক্ষমতা বাড়াতে নিজের অর্থ ব্যয় করতে চান না। বিপরীতে প্রতিবছরই মুনাফা থেকে বড় অংকের নগদ লভ্যাংশ বের করে নিতে উদগ্রীব থাকেন। আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও চাইছে ব্যাংকগুলো নগদ লভ্যাংশ দিক। এছাড়া প্রতিনিয়ত নতুন ব্যাংকের জন্ম হওয়ায় ব্যাংকগুলোর পক্ষে মূলধন সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
দেশে এখনো ৪০০ কোটি টাকা মূলধন দিয়ে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে। আগে এর চেয়েও অনেক কম মূলধন দিয়ে ব্যাংকের জন্ম হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মূলধন কাঠামোয় দুর্বলতা থেকে গেছে। নতুন ব্যাংকগুলো দ্রুতগতিতে ব্যবসায়িক পরিধি বড় করছে। এ কারণে ব্যাংক খাতের মূলধন না বাড়লেও সম্পদ বড় হচ্ছে। তবে একটি স্থিতিশীল ব্যাংক ব্যবস্থার জন্য ব্যাংকগুলোর মূলধন সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
এই মুহূর্তে ব্যাংকগুলো যে মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে এটি কাটানোর জন্য দুইটি উপায় আছে। প্রথমত, ব্যাংকগুলোকে তাদের খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দিতে হবে এবং খেলাপি ঋণ কমলে প্রভিশনের ওপর চাপ কমবে। ফলে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি কমে আসবে। দ্বিতীয়ত, উদ্যোক্তা পরিচালকদের নতুন করে ক্যাপিটাল ইনজেক্ট করতে হবে। নতুন ক্যাপিটাল আসলে ঘাটতিও কমে আসবে।

স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম গড়ে তুলতে এগিয়ে আসুন।

অভিমতের আপডেট পেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন

বিষয়: আইএমএফআমানতআহসান এইচ মনসুরঋণ খেলাপিখেলাপি ঋণঘাটতিদেউলিয়াবাজারবাংলাদেশ ব্যাংকব্যাংকব্যাংকিং সুশাসনমূলধনমূল্যস্ফীতিমো. সহিদুল ইসলাম সুমনরিজার্ভসোনালী ব্যাংক
ShareTweetPinSend

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

কলাম

রাষ্ট্র কী চায়

৩ জুলাই ২০২৪
Glimpses of the new Parliament Building, in New Delhi
নির্বাচিত

যে নির্বাচনে জিতেও হার মোদীর, হেরেও জয় ‘ইন্ডিয়া’র

৮ জুন ২০২৪
নির্বাচিত

জ্বরের নাম হীরামণ্ডি : তাওয়াইফ বনাম বেগমদের অবাক রূপকথা

৫ জুন ২০২৪
নির্বাচিত

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পিছিয়ে পড়ছে কেন?

৩০ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচিত

নাগরিক সমাজ কোথায় হারালো?

১৬ এপ্রিল ২০২৪
বিএনপির একটি কর্মসূচি, ছবি : বিএনপির ফেসবুক পেজ
নির্বাচিত

বিএনপি কি ব্যর্থ হলো?

২২ জানুয়ারি ২০২৪

Discussion about this post

জনপ্রিয় লেখা

রাষ্ট্র কী চায়

৩ জুলাই ২০২৪
হামাসের লোগো, সূত্র উইকিপিডিয়া

হামাস কি সন্ত্রাসী সংগঠন?

১ নভেম্বর ২০২৩

কয়েকটা দিন বনাম ৩৬ দিন

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সংলাপের দাবিতে সুজনের মানব বন্ধন, ৫ আগস্ট ২০২৩

সরকার কি সমঝোতার ট্রেন মিস করেছে?

১০ অক্টোবর ২০২৩
ছবি : ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক পেজ

কিসের বিনিময়ে ‘তলে তলে’ আপোস হলো?

৪ অক্টোবর ২০২৩
  • প্রচ্ছদ
  • আমাদের সম্পর্কে
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • যোগাযোগ
google play

অভিমত
ঠিকানা: ২০ বাবুপুরা (৩য় তলা), কাঁটাবন ঢাল, কাঁটাবন। ঢাকা ১২০৫। ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © ২০২৫ অভিমত

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • মন্তব্য
  • বিতর্ক
  • সাক্ষাৎকার
  • বিশ্লেষণ
  • কলাম
  • পরিক্রমা
  • রিভিউ

অভিমত
ঠিকানা: ২০ বাবুপুরা (৩য় তলা), কাঁটাবন ঢাল, কাঁটাবন। ঢাকা ১২০৫। ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © ২০২৫ অভিমত

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist